বিশ্ব খাদ‍্য দিবসে যৌনপল্লীর আবাসিকদের খাদ‍্য প্রদান

16th October 2020 4:22 pm হুগলী
বিশ্ব খাদ‍্য দিবসে যৌনপল্লীর আবাসিকদের খাদ‍্য প্রদান


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : বিশ্ব খাদ্য দিবসে শেওড়াফুলি যৌনপল্লীতে আবাসিকদের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হল জেলা লোক আদালতের পক্ষ থেকে।লোক আদালতের বিচারক অনির্বান রায়, শ্রীরামপুর মহকুমার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, বৈদ্যবাটি পুর প্রশাসক যৌন কর্মিদের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন।করোনা পরিস্থিতি যৌন কর্মিদের পেশায় থাবা বসিয়েছে।গত আট মাস ধরে খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে দিন কাটছে শেওড়াফুলি গড়বাগানের যৌন কর্মিদের।প্রশাসনিক ভাবে তাদের খাদ্য সামগ্রীর ব্যবস্থা হয়েছে।বিচারক রায় বলেন,ইউনাইটেড নেশন ১৯৭৫ সালে এটি শুরু করে।মূলত দারিদ্র ও অপুষ্টির দূরিকরনের লক্ষে।ভারতবর্ষ সহ মোট দেরশটি দেশে পালিত হয় খাদ্য দিবস।সুপ্রিমকোর্ট ২০১১ সালে একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে বলে,যৌন কর্মিদেরও মানুষের মত বাঁচার অধিকার আছে।শরৎচন্দ্রের চন্দ্রমুখি ও রাজলক্ষ্মীর উল্লেখ করে ওই রায়ে বলা হয় তারা যৌনকর্মী হলেও তাদের মূল্যবোধ ছিলো। যৌনকর্মীরা পেটের দায়ে এই পেশায় আসে।তাদের ভোকেশনাল ট্রেনিং বা অন্যভাবে সাহায্য করলে হয়ত ওদের পথটাও সুগম হবে।মানুষের মত বাঁচতে পারবে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।